আর্কাইভ থেকে অপরাধ

প্রত্যেক নারীকে এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতো পাচারকারীরা

প্রত্যেক নারীকে এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতো পাচারকারীরা

ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের হোতা মো. কালু এবং মো. সোহাগ-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন,র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেক নারী ও শিশুকে এক থেকে দেড় লাখ টাকায় ভারতের বিভিন্ন পতিতাপল্লীতে বিক্রি করতো। মার্কেট কিংবা সুপারশপ অথবা বিউটি পার্লারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে তাদেরকে নিয়ে যেতো পাচারকারীরা।

সোমবার( ১৬ আগস্ট) দুপুরে কাওরানবাজারে মিডিয়া সেন্টার সংবাদ সম্মলেনে র‌্যাব জানায়,কয়েকমাস আগে ভারতে বিউটি পার্লারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে সাতক্ষীরায় নিয়ে যায় মো. কালু এবং তার ভাগনে মো. সোহাগ। ওই কিশোরীকে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয় তারা। মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য মো. বিল্লাল এই কিশোরীসহ আরও তিন মেয়েকে ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করে দেয়।

টেলিফোনে কিশোরী তার মাকে সব জানালে মেয়েকে উদ্ধার করতে কৌশল হিসেবে পাচারকারী চক্রের সদস্য কালুর মাধ্যমে মা নিজেও দালালদের কাছে বিক্রি হয়ে ভারতে যান। সুযোগ বুঝে ভারতীয় একজন জনপ্রতিনিধিকে সব কিছু খুলে বলেন তিনি। পরে ওই জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় সেদেশের কিশোরগঞ্জের পাঞ্জিপাড়ার পতিতা পল্লী থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন।

এরপর ভারতীয় বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজিবির সহযোগিতায় মা মেয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে। অভিযোগ পেয়ে এই পাচারকারী চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যােব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা। এ পর্যন্ত সিন্ডিকেটটি প্রায় দুই শতাধিক নারী পাচার করেছে বলে জানায় র্যােব।

ভারতের নারী পাচারের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে, তা জানতে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করছে র্যা ব।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন প্রত্যেক | নারীকে | এক | দেড় | লাখ | টাকায় | বিক্রি | করতো | পাচারকারীরা