যশোরের শার্শা উপজেলায় মেয়েকে বিষপানে হত্যার পর সুমি খাতুন (৩০) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শুড়ারঘোপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুন (৩০) ও আঁখি মনি (৬)।
প্রতিবেশীরা জানান, তিন বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদের পর সুমি খাতুন তার শিশুকন্যা আঁখি মনিকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন।
এ নিয়ে সুমির মায়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হতো। মঙ্গলবার মা তাকে এ নিয়ে বকাঝকা করেন। এর পর তার ও মায়ের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়।
পারিবারিক কলহ ও মায়ের ওপর অভিমান করে মেয়েকে বিষপানে হত্যার পর সুমি আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা প্রতিবেশীদের।
এ বিষয়ে লক্ষণপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোমিনুল হোসেন জানান, মেয়েটার বিয়ের পর সংসারে ঝামেলার কারণে বিচ্ছেদ হয়। তার পর থেকে সুমি খাতুন মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে পারিবারিক বিষয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর পর রাত ৮টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুমি খাতুন প্রথমে মেয়েকে বিষপান করান। এর পর নিজেও বিষপান করেন।
খবর পেয়ে তার পরিবার ও এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আঁখি মনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে চিকিৎসাধীন রাত ৯টার দিকে সুমি খাতুন মারা যান। লাশ দুটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান জানান, বিষয়টি শুনেছি, সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
মুক্তা মাহমুদ