নরসিংদীতে ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় চারদিন কারাবাস করেছেন আব্দুর রাশিদ নামের এক বৃদ্ধ কৃষক।
পরে সিএমএম কোর্টে এই পরোয়ানা ভুয়া প্রমাণিত হলে সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে ছাড়া পান তিনি। এর আগে গত ১৯ আগস্ট দুপুরে মনোহরদীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মনোহরদী থানা পুলিশ ।
আব্দুর রাশিদ (৬৫) মনোহরদী উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
আব্দুর রশিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় , গত ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে আবদুর রশিদের নিজ বাড়িতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে হাজির হন মনোহরদী থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক। এসময় কৃষক আব্দুর রাশিদের বিরুদ্ধে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম কোর্ট) সাজার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে আসেন বলে জানান তিনি। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে সেদিনই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় ।
এরপর, শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন পার করে রোববার গ্রেপ্তারকৃত ওই বৃদ্ধের স্বজনেরা ঢাকার সিএমএম কোর্টের এক আইনজীবীর মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ সিএমএম কোর্টে দাখিল করেন। এসময় আদালতে এ ধরনের মামলার কোনো নথি না থাকা ও ওই পরোয়ানা ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত। পরে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে সোমবার বিকেলে মুক্তি পান আব্দুর রাশিদ।
কৃষক আব্দুর রশিদের আইনজীবি আবু সাইদ সিদ্দিকী বলেন, কেউ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজপত্র কারসাজি করে হয়ত এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা স্মারক নম্বর খুঁজে পাওয়া যায়নি। হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত এই ধরনের অভিযোগের নথি না থাকায় ঐ পরোয়ানা ভুয়া প্রমাণিত হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুর রাশিদের ছেলে মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা এই হয়রানির বিচার চাই। আমার বাবা নিতান্তই একজন নিরীহ মানুষ । কেউ হয়ত উদ্দেশ্যপণোদিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত। আজ আদালতে পরোয়ানা ভুয়া প্রমানিত হয়েছে। আগেই যদি জানতাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভুয়া তাহলে তো গ্রেপ্তারই করতাম না। আদালত থেকে ওয়ারেন্ট আসছিলো, তাই আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। কিভাবে কি ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
মুনিয়া