আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৩টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩৪ এবং ব্রহ্মপূত্র নদ চিলমারী পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার নীচে অবস্থান করছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় লোকজন বিপাকে পরেছেন।

বন্যায় ১০ হাজার ৯৫ হেক্টর রোপা আমন, বীজতলা ও শাক-সবজি তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার গ্রামিণ সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় মানুষ ঘরে বন্দি হয়ে আছে।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, ব্রহ্মপূত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার ইউনিয়নে দেড় হাজার বসতবাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে চর গুজিমারীতে ৪ শতাধিক, দাগারকুটিতে ৪ শতাধিক, গাবুরজানে তিন শতাধিক, বাবুর চরে দুই শতাধিক এবং নয়াডারায় দুই শতাধিক পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে ভারতের কয়েক রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মহু বাদশা জানান, তার আশপাশের এলাকায় ৪২০টি পরিবারের বাড়িঘরে পানি ওঠা শুরু করেছে। এরমধ্যে বালাডোবায় ৬৫টি, উত্তর বালাডোবায় ২৫টি, ফকিরের চরে ৬০টি, মশালের চরে ৭০টি, সরকারপাড়া, আলআমিনের বাজার ও ব্যাপারী পাড়ায় দুই শতাধিক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। বসতবাড়িতে পানি ওঠায় লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে।

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর বড়াইবাড়ী এলাকার মেম্বার আব্দুল আলীম জানান, তার ওয়ার্ডে শতাধিক বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। চর বড়াইবাড়ী সাবেক চৌধুরীর হাট এলাকায় বাড়ীঘরে পানি ওঠায় লোকজন অন্যত্র চলে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম খামারবাড়ীর উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় ১০ হাজার ৯৫ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। 

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কুড়িগ্রামে | বন্যা | পরিস্থিতির | আরও | অবনতি