আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ভুল চিকিৎসায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাত বছরের শিশু

ভুল চিকিৎসায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাত বছরের শিশু

সাত বছরের শিশু আবদুর রাফি। বেশ কয়েকদিন থেকে দাঁতের ব্যথায় ভুগছিল। স্থানীয় এক ডেন্টিস্টের ভুল ওষুধে শরীর আগুনে পোড়ার মতো দগদগে ক্ষত ও ফোসকার সৃষ্টি হয়েছে শিশুটির। উপায় না পেয়ে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।

তিনি বলেন, শিশুর দাঁতের ব্যথা কমাতে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শিশুর শরীরের এ অবস্থা। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যাতে দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে। নয়তো শিশুটির শরীরের আরও ক্ষতি হতে পারে। আক্রান্ত হতে পারে কণ্ঠনালী ও চোখও।

এদিকে অভিযুক্ত হাতুড়ে চিকিৎসকের নাম মফিজুল হক। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন ভুল চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ আছে। কাটাখালী পৌরসভার বাজারে রয়েছে তার চেম্বার। চেম্বারের সামনের সাইনবোর্ডে লেখা চিকিৎসক। অথচ তিনি কথিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা আব্দুর রহমানের অভিযোগ, ছেলের দাঁত তোলার পর ব্যথা শুরু হয়। এ সময় কাছের ডাক্তার হিসেবে কাটাখালী বাজারের ডেন্টিস্ট মফিজুল হকের কাছে নেওয়া হয়। তিনি দুটি ওষুধ লিখে দিলে সেগুলো খাওয়ানোর ১২ দিন পর গোটা শরীরে ক্ষত দেখা দেয়। ঠোঁটে পোড়ার মতো ক্ষত হয়। পরে অবস্থা খারাপ হলে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা তো জানি না সে একজন ভুয়া ডাক্তার। জানলে তার কাছে চিকিৎসা করাতাম না। আমার ভালো ছেলে এখন হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে। সেই ডাক্তারের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। যেন আর কারও সন্তানের এমন অবস্থা না হয়।

এ বিষয়ে রাজশাহীর ডেপুটি সিভিল সার্জন রাজিউল হক বলেন, মফিজুল নামের এই চিকিৎসকের কোনো নিবন্ধন নেই। তাকে চেম্বার করতে দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভুল | চিকিৎসায় | আশঙ্কাজনক | অবস্থায় | সাত | বছরের | শিশু