আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

আর্থিক কেলেঙ্কারিতে শচীন ও অঞ্জলির নাম!

আর্থিক কেলেঙ্কারিতে শচীন ও অঞ্জলির নাম!

এবার বড় রকমের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গেলো ভারতীয় ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার, স্ত্রী অঞ্জলি টেন্ডুলকার ও শ্বশুর আনন্দ মেহতার। 

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআইজে প্রকাশিত  ‘প্যান্ডোরা পেপারস’ নামের এই গোপন নথিতে নাম রয়েছে এ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তির। কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। দেশ-বিদেশের সাংবাদিকদের করা চাঞ্চলকর তদন্তমূলক রিপোর্ট ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’।

রোববার এ নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ভারতীয় মিডিয়ায়। শচীন ছাড়াও এই রিপোর্টে নাম উঠে এসেছে ভারতের আরও ৬ রাজনীতিবিদের।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের গোপন সম্পদ ও লেনদেন ফাঁস করা হয়েছে এই নথিপত্রে। মূলত এই সব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কীভাবে নিজেদের সম্পদ বিদেশি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে সরিয়েছেন, তা তুলে ধরেছে ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’। শচীনের আইনজীবী যদিও দাবি করেছেন, যে 'ক্রিকেট ঈশ্বর'-এর যাবতীয় বৈদেশিক লেনদেন সম্পূর্ণ বৈধ। দেশের বাইরে তার বিনিয়োগের যাবতীয় হিসাব কর কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। শচীনের নাম সামনে এলেও সেই ভারতীয় রাজনৈতিকদের নাম প্রকাশ্যে আসেনি।

ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) জানাচ্ছে যে, তারা বর্তমান ৩৫ জন রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও প্রাক্তন বিশ্বনেতাদের গোপন সম্পদ নিয়ে তদন্ত চালিয়েছে। রয়েছেন ৩৩০-এর ওপর রাজনীতিবিদের নাম। রয়েছে ধনকুবের, ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়াবিদদের নামও।

বিদেশের 'বিবিসি'ও 'দ্য গার্ডিয়ান'-এর মতো নাম করা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেই ভারতের 'দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর সাংবাদিকরাও আইসিআইজে-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট পেশ করেন। মোট ৬০০ সাংবাদিকের মিলিত প্রয়াসে ১১.৯ মিলিয়ন গোপন নথিপত্র ফাঁস হয়েছে। যা সবই বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ ও গোপন সম্পদ লেনদেনের তথ্য তুলে ধরেছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আর্থিক | কেলেঙ্কারিতে | শচীন | ও | অঞ্জলির | নাম