নিচে যখন নাজমুল হাসান পাপন, ফাহিম সিনহা (অ্যাকমি ল্যাবরেটরিজের অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী), সংসদ সদস্য নাইমুর রহমার দুর্জয় ও নারায়ণগঞ্জের তানভির আহমেদ টিটুর আগাম জয়োধ্বনিতে মাতোয়ারা ভক্ত-সমর্থকরা, তখন বিসিবি ভবনের দোতলা থেকে মাথা নিচু করে নেমে এলেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মেনে নিয়েছেন, বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন তিনি। মুখে লেগে থাকা হাসিটা খানিক ম্লান। তারপরও খেলোয়াড়িসুলভ মনোভাব নিয়েই মিডিয়ার সামনে দাঁড়ালেন, মেনে নিলেন বাস্তবতা।
পাইলটের প্রতিপক্ষ ছিলেন রাজশাহীর পাবনা জেলার সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন। ৭-২ ব্যবধানে জিতে পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হিসেবে তিনি তৃতীয়বারের মতো বিসিবি পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়ে পাইলট বলেন, ‘আশা করি তিনি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবেন, সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বিসিবিকে। তার জন্য আমার দোয়া রইলো।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি? আপনার ওপর কোনো চাপ ছিল কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পাইলটের কৌশলী উত্তর, ‘আমি আসলে একজন খেলোয়াড়ের মতো করেই দেখেছি ব্যাপারটা। অন্যদিকে কী ছিল, আমি বলতে পারব না। তবে আমি খেলোয়াড়ের মতো মনোভাব দেখাতেই চেষ্টা করেছি।’
পাইলট যোগ করেন, ‘একজন স্পোর্টসম্যান হিসেবে আমাকে এটা ভালোভাবে মেনে নিতেই হবে। যদিও আমি এক-দুইদিন আগেই বুঝতে পারছিলাম, কী হতে যাচ্ছে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে, নির্বাচনটা সুন্দর পরিবেশে শেষ করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’