প্রতারণার করে কোটি কোটি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আব্দুল কাদের নামে একজনকে স্ত্রী ও তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসব অর্থ দিয়ে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট গাজীপুরে ৮ বিঘার বাগানবাড়িসহ অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আকতার জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতের নাম আব্দুল কাদের মাঝি। স্কুলের গন্ডি পার হতে পারেনি। নিজেকে পরিচয় দিতেন অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। কোটি টাকার গাড়িতে জনপ্রশাসনের স্টিকার লাগিয়ে অনায়াসে প্রবেশ করতেন সচিবালয়ে।
কখনো কখনো নিজেকে সততা প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয় দেন । নিজেকে কথিত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের প্রতিষ্ঠানের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার বলেও পরিচয় দেন।
সব সময়ই আভিজাত্যের ভাব নিয়ে চলাচল করতেন। এমন ভাওতাবাজির এর আড়ালে প্রতারণার বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন তিনি। ২০ কোটি ৩০ কোটিরও বেশী টাকার সরকারী টেন্ডার পাইয়ে দেয়া , চাকরি দেয়ার নামে সহজ সরল মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এমন অভিযোগ পেয়ে গেল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে প্রতারণা করেন কাদের। ইতোমধ্যে কয়েকবার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো অপকর্ম করতে থাকে।
কাদেরের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও এবং পল্লবী থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হযেছে। কাদেরের অপকর্মের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।