চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে মালবাহী জাহাজ এমভি আল বাখেরা থেকে উদ্ধার হওয়া ৭ মরদেহের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এঘটনায় একমাত্র জীবিত জুয়েলের শাসনালী কেটে যাওয়ায় তিনি কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ইকবাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, যে ছয়জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন, জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি এবং গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল। এদের সবার বাড়ি নড়াইল জেলায়।
তিনি আরও জানান, সারবাহী জাহাজ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার ফরিদপুরের জুয়েল রানা (৩৫) ঘটনার বিষয়ে নৌ পুলিশকে কিছু একটা বলতে চেয়েছেন। নিজ হাতে লিখে সেটি বলার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত অবস্থা গুরুতর হওয়ায় লেখা শেষের আগেই আজ সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ কে এম ইকবাল জানান, শুধু একটি কাগজে তাঁর নাম আর একটি মুঠোফোন নম্বর দিয়ে যান। আর শেষ দিকে “আমি স” লেখার পর অ্যাম্বুলেন্সটি চাঁদপুর থেকে চলে যায়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্ত করে বিষয়টি ডাকাতি মনে করছি না। এ ধরনের নৃশংসতম ঘটনা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। কারণ, সেখানে দুটি মোবাইল, মানিব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র অক্ষত পাওয়া যায়।’
জাহাজের মালিক দিপলু রানা জানান, চট্টগ্রাম থেকে রওনা হওয়ার পর রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে জাহাজটির মাস্টারের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। তখন মাস্টার জানিয়েছিলেন, মেঘনা নদীতে তাঁরা জাহাজের বহরের মধ্যেই ছিলেন। তবে সকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও কেউ সাড়া দেননি।
তিনি বলেন, ‘বারবার যোগাযোগ না করে কাউকে না পেয়ে আমাদের আরেকটি জাহাজের (মুগনি-৩) নাবিকদের বিষয়টি জানাই। ওই জাহাজ এমভি আল বাখেরার কাছাকাছি ছিল। তাঁরা আল-বাখেরার কাছাকাছি যাওয়ার পরই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পারেন।’
আই/এ