চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজে খুন হওয়া সাত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। মরদেহ নিতে হাসপাতালে এসেছে স্বজনেরা। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফরিদ আহমেদ আখন্দ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রাতে মরদেহগুলো হাসপাতালে আনার পর সুরতহাল শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করবে।
জাহাজের ইঞ্জিনচালক নিহত সালাউদ্দিন মোল্লার (৪০) চাচাতো ভাই ও আরেক জাহাজের মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গতকাল দুপুরে ফেসবুকের মাধ্যমে তারা আল–বাখেরা জাহাজে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের খবর পান। খবর পেয়ে আজ তারা মরদেহ নিতে এসেছে।
স্বজনদের দাবি, এটা কোনো ডাকাতি ছিল না। কারণ, দুর্বৃত্তরা হত্যার পর কোনো কিছু নেয়নি। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। চাঁদপুরের এই নৌরুটে ব্যাপক চাঁদাবাজি চলে। বিশেষ করে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সবচেয়ে বেশি চাঁদাবাজি হয়। চাঁদা না দিলে মারধর করা হয়। বিষয়টি প্রশাসনও জানে। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এ জন্য নিরুপায় হয়ে সবাই চাঁদা দিয়ে থাকেন। হয়তো সেই চাঁদাবাজেরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
চাঁদপুরের নৌ অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও নৌপুলিশ পৃথক তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। দুপুরের মধ্যে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক এবং যুগ্ম সচিবকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে
আই/এ