আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

অবৈধ সংযোগই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ

অবৈধ সংযোগই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ

বাংলাদেশ প্রতিবছরই দেখা যায় বিভিন্ন বস্তিতে আগুন লেগে থাকে। এ আগুন এখন নিয়মিত আতঙ্ক। প্রতিবছর আগুনে পুড়ে হাজার হাজার বস্তির ঘর পুড়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে সম্পদ। এ আগুনের বেশিরভাগ সূত্রপাত হচ্ছে অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগের শটসার্কিট এবং গ্যাসের অবৈধ সংযোগের কারণে।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এসব সংযোগ যত্রতত্র না হয়ে যদি বৈধভাবে যথাযথ নিয়ম মেনে হতো তা হলে অগ্নিকাণ্ড কমে যেতো।

বৈদ্যুতিক শটসার্কিট কিংবা অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে হোক প্রতিবছর অনেক বস্তি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় আগুনে পুড়ে মানুষ যেমন আহত হচ্ছে তেমনিভাবে ক্ষতি হচ্ছে সম্পদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বস্তিবাসীদের বৈধভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমবে। একইসঙ্গে এই অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের আর্থিক জরিমানা করারও আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক আবু নাঈম মো. শাহিদুল্লাহ বলেন, বস্তিতে অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধে খুব একটা তৎপরতা নেই কর্তৃপক্ষের। অবৈধ সব লাইন বন্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে আবার যেন সংযোগ না নিতে পারে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বস্তিবাসীদের বৈধভাবে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারলে তাদের নিরাপত্তা নিজেদের নিশ্চিত হবে। একই সাথে বস্তিবাসীদের অগ্নি নির্বাপণের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

এ বিষয়ে স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, এই নগরীতে আবাসন ব্যবস্থা না করে, অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগের কারণে অগ্নিকাণ্ড হলে এর দায় ওয়াসা, সিটি করপোরেশন এবং তিতাস গ্যাসকে নিতে হবে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, তিতাসের উচিত বৈধ সংযোগের ব্যবস্থা করা। মনে রাখতে হবে প্রতিটি গ্রাহক পয়সা দিয়ে এসব সংযোগ নিয়েছে। এর মানে তার অধিকার আছে নিরাপদভাবে সংযোগ পাওয়ার।

এছাড়া বৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দিতে সরকারকে ভর্তুকি দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন অবৈধ | সংযোগই | বস্তিতে | অগ্নিকাণ্ডের | প্রধান | কারণ