দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জিতলো ফ্রান্স। পিছিয়ে থেকেও স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন লেস ব্লুরা। এমবাপ্পের বিতর্কিত গোলে জয় নিশ্চিত হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
সেমিফাইনালের মতই আরো একবার ফ্রান্সের ঘুরে দাঁড়ানোর উদাহরণ হয়ে থাকলো সানসিরোর শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ। ইউরো ব্যর্থতার পর নেশন্স লিগে চমক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। পর্তুগালের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে আসর সেরা লেস ব্লুরা।
অথচ ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য ছিলো স্পেনের। তবে এমবাপ্পে, থিও হার্নান্দেজদের কাউন্টার অ্যাটাকে কাবু লা রোহা ফিউরিরা।
গোল শূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ফ্রান্স। থিও হার্নান্দেজের শট ফেরে বার পোস্টে লেগে। এর মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় স্পেন। বুস্কেতসের পাস থেকে মিকেল ওয়ারজাবাল লিড এনে দেন দলকে। এ ফরোয়ার্ডের ৬ গোলের তিনটিই আসলো নেশন্স লিগ থেকে।
তবে দেশম শীষ্যদের সমতায় ফিরতে সময় লেগেছে মাত্র ২ মিনিট। কারিম বেনজেমার বুদ্ধিদীপ্ত শট ফেরাতে ব্যর্থ স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন।
ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে এমবাপ্পের বিতর্কিত গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ভিএআরে পরিস্কার অফ সাইডে ছিলেন এমবা্প্পে। তবে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী বল প্রতিপক্ষের পায়ে থাকার পর এ ধরনের অফসাইডের ক্ষেত্র বেনিফিট অব ডাউট পাবেন স্কোরার। শেষ পর্যন্ত ঐ গোলই জয় সূচক।
যদিও ম্যাচের অন্তিম সময়ে ওয়ারজাবাল, জেরেমি পিনোদের একেরপর এক আক্রমন দারুন ভাবে রুখে দেন ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিস।
এ জয়ে নির্ধারিত সময়ের হিসাবে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো ফ্রান্স। ১৯৯৪ থেকে ৯৯ এ ৫ বছরে টানা ২৭ ম্যাচে অপরাজেও থাকার রেকর্ড ভাঙ্গার অপেক্ষায় লেস ব্লুরা।
এস