সুনীল নারিনের বল-ব্যাট হাসলেও শেষ দিকে চাপে পড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এলিমিনেটরে ১৩৯ রানের লক্ষ্য ছুঁতেই ঘাম ছুটছিল তাদের। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে সুযোগ না পাওয়া সাকিব আল হাসানের কাঁধে পড়ল শেষ করার দায়িত্ব, ক্রিজে তার সঙ্গে ছিলেন সমালোচিত অধিনায়ক এউইন মর্গ্যান। শেষ ওভারে যে চাপ তা এক নিমিষে দূর করে দেয় সাকিবের একটি স্কুপ।
১৮তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের জোড়া আঘাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় বেঙ্গালুরু। দুই সেট ব্যাটসম্যান নারিন ও দিনেশ কার্তিক বিদায় নেন তিন বলের মধ্যে। মর্গ্যানের সঙ্গে সিঙ্গেল নিয়ে সাকিব ব্যবধান কমাতে থাকেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। কলকাতাতে খানিকটা চেপে ধরেছিল বেঙ্গালুরু।
ড্যানি ক্রিস্টিয়ান বল হাতে নেন। প্রথম বলেই স্কুপ করে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার মারেন সাকিব। পাঁচ বলে দরকার তখন তিন রান। পরের তিন বলে সিঙ্গেল নেন তিনি ও মর্গ্যান। চতুর্থ বলে জয়সূচক শট খেলেন সাকিব। ৬ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২০১২ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফাইনালে এমন স্কুপে চার মেরে স্বস্তি ফেরান সাকিব। তাতে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান, বাকি কাজ সারেন অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারি। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতা।