নয় বছর পর অভিযোগ উঠেছে দেশের প্রথম বাস র্যা পিড ট্রানজিট প্রকল্প, বিআরটি’র নকশায় ত্রুটি রয়েছে। প্রায় এক দশকে কয়েক দফায় প্রকল্পের খরচ ও মেয়াদও ব্যায় বাড়ানো হয়েছে। গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনে করেন, ভুল নকশার কারনে বিআরটি প্রকল্পটি সুবিধা তো বাড়বেই না বরং যাত্রী ভোগান্তি বাড়াবে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, প্রায় একই কথা। তারা মনে করেন, এধরনের প্রকল্পের জন্য গাজীপুর করিডর উপযুক্ত জায়গা নয়।
হযরত শাহ (রহ.) জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার মহাসড়কে গেলো ৯ বছর ধরে চলছে বিআরটি’এ প্রকল্পের কাজ। একটি প্রকল্প বাস্তবায়ণে যতগুলো নেতিবাচক দিক থাকতে পারে তার প্রায় সবই দেখা গেছে এই প্রকল্পে। প্রকল্পের খরচ দ্বিগুনেরও বেশী বাড়িয়ে করা হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। কিন্ত এই কাজ কবে শেষ হবে, তার সদুত্তর নেই। এই প্রকেল্পে বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী চেরাগ আলী পর্যন্ত উড়ালসড়ক ২৫টি স্টপেজ ও সাতটি মোড়ে ওভারপাস নির্মাণ প্রক্রিয়া এখনও চলছে ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, দুই লেনের বিআরটি প্রকল্পে ৪ ফুট চওড়া ফুটপাত, সরু ড্রেন আর পুরো প্রকল্পের মধ্যে থাকা ৩২টি ইউটার্ণ ঘনবসতিপূর্ণ গাজীপুর অঞ্চলে যানজট আরও বাড়াবে। এখনো সম্ভব, আবারো পরিকল্পনা ও নক্সা করে সম্ভাব্য ত্রুটি শুধরে নেয়া। চেস্টা করলে প্রায় ৮০ ভাগ ত্রুটি দুর করা যাবে।
সড়ক ও জনপথ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামসুল হক মনে করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরুর আগে আরো গবেষণার প্রয়োজন ছিলো। এই অবস্থায় নক্সা পূনর্বিন্যাস করে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর বলেছেন, নকশায় ত্রুটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।