টানা দরপতনের পর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবসে এরই মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২০ ডলারের ওপরে বেড়ে গেছে। এর আগে এক মাস ধরে টানা দরপতন হয় স্বর্ণের। এতে এক মাসের মধ্যে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১৩৫ ডলার কমে যায়।
বিশ্ববাজারে টানা দরপতনের মধ্যে সম্প্রতি দেশের বাজারে দু’দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে। অবশ্য তার আগে টানা ছয় দফা দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছায় স্বর্ণ।
বুধবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩৩ ডলারে। অর্থাৎ দেশের বাজারে দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২৩ ডলার বেড়ে গেছে।
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি দাম বাড়ার মাধ্যমে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয় ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে স্বর্ণের ভরি ৯৩ হাজার টাকা স্পর্শ করেনি। রেকর্ড দাম হওয়ার পর ফেব্রুয়ারিতে দু’দফা স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়।
সর্বশেষ ২৬ ফেব্রুয়ারি সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৯১ হাজার ৯৬ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৫ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৯৮ টাকা কমিয়ে ৬২ হাজার ১৬৯ টাকা করা হয়েছে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের এই দাম কমানোর পর বিশ্ববাজারে দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম যখন কমানোর ঘোষণা দেয়া হয় সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিলো ১ হাজার ৮১০ ডলার।