আজ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এদিন দিবসটি পালিত হবে । দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করাই এই দিবসটি পালনের লক্ষ্য।
আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার ওসমানীস্মৃতি মিলনায়তনে সকাল দশটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
আবদুল হামিদ বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই বাংলাদেশকে কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের দুর্যোগ নিয়ে পূর্বপ্রস্তুতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দুর্যোগে প্রাণহানি এক ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় চিরাচরিত ‘দুর্যোগ পরবর্তী সাড়াদান ব্যবস্থাপনা’ থেকে ‘আগাম ব্যবস্থাপনা’ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমেছে।
তিনি বলেন, ভৌগলিকভাবে দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োগযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুযোর্গজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের উপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।