দূর্গাপূজা কেন্দ্র করে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে বিভিন্ন মন্দিরে সহিংসতার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আরও ৩ আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় আব্দুর রহিম সুজন (১৯) নামের এক আসামির জবানবন্দি নেওয়া হয়।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এই তিন আসামি হলেন-বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে আরাফাত হোসেন আবির (১৯), হাজীপুর ১নং ওয়ার্ডের নুরুল হক ভুঁইয়ার ছেলে ইব্রাহিম খলির রাজিব (২৪) ও চৌমুহনী পৌরসভা গণিপুর এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন আহম্মেদ মাহির (১৯)।
পুলিশ জানিয়েছে, মন্দিরে হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আবির, রাজিব ও মাহিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চৌমুহনীতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা ২৯নং মামলায় রাতেই তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৩ এ হাজির করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নবনীতা গুহ ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, কুমিল্লায় পূজা মন্ডপে হামলার ঘটনার জের ধরে বেগমগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা হয়। এসব ঘটনায় নোয়াখালীতে ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন আসামি হামলার ঘটনায় নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে ১টি, চট্টগ্রাম ডিআইজি কার্যালয় থেকে ১টি, জেলা পুলিশ থেকে ১টি এবং জেলা প্রশাসক থেকে ১টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মুক্তা মাহমুদ
