কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনার ৬ দিন পার হলেও বিচায় না পাওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামী ১৪ মার্চ অধাবেলা অবস্থান কর্মসূচি, ১৫ মার্চ সংহতি সমাবেশ ও ১৬ মার্চ সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ হবে।
উপাচার্যকে আন্দোলনে একাত্মতা পোষণের আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীরা বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার, অছাত্র এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, আহত শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ এবং মো: সালমান চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত, এবং হামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণের দাবী জানান।
আরও দাবি জানিয়ে বলেন, আপনারা সবাই দেখেছেন কিভাবে দিনে দুপুরে বহিরাগত এবং যুবদলের নেতাকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষর্থীদের মারধর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগত এবং অছাত্রদের অস্ত্রসহ প্রবেশের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়মিত ঘটতে থাকা এসকল ঘটনায় দোষীদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করে প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গেলো ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস স্থানীয় যুবদল নেতা ও তার অনুসারীদের নিয়ে ৩ ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলা চালায়। পরে ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
এছাড়া গেলো ১২ মার্চ ফের প্রক্টর ওমর সিদ্দিকীর অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যঙ্গচিত্র হাতে নিয়ে মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার, অছাত্র এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, আহত শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ এবং মো. সালমান চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত, এবং হামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।