আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ভারত থেকে পাইপলাইনে তেল আমদানি শুরু হচ্ছে আজ

ভারত থেকে পাইপলাইনে তেল আমদানি শুরু হচ্ছে আজ
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে স্থাপিত বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের উদ্বোধন হবে আজ। শনিবার (১৮ মার্চ) ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে এ পাইপলাইন উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ডিজেল আমদানি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। প্রথম দিন পাইপলাইনে আসবে এক কোটি লিটার ডিজেল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি তেলের পাইপলাইনটি নির্মাণের আনুমানিক খরচ ৩৭৭ কোটি রুপি। বাংলাদেশ অংশে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৮৫ কোটি রুপি। ভারত সরকার থেকে এ আর্থিক সহায়তা বহন করা হয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পাইপলাইনটি বিস্তৃত। বার্ষিক ১ মিলিয়ন টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে এ পাইপলাইনের। এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রাথমিকভাবে উচ্চ গতির ডিজেল সরবরাহ করবে। জ্বালানি খতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানিকে বাংলাদেশ বিকল্প উৎস হিসেবে দেখছে। ভবিষ্যতে বিশ্ববাজারে সংকট তৈরি হলেও পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাড়তি ডিজেল আমদানি করা যাবে। বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের কার্যক্রম ভারত থেকে বাংলাদেশে হাই-স্পিড ডিজেল পরিবহন টেকসই, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও পরিবেশ-বান্ধব করবে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা আরও বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য ২০১৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী এ জ্বালানি পাইপলাইন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে। এর আগে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত থেকে ডিজেল আমদানিতে রেলগাড়ি ব্যবহার করত। বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ মেট্রিক টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি করা হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে কম খরচে নতুন উত্স থেকে ডিজেল আমদানির পথ খুঁজছে সরকার। ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানিকে বিকল্প উত্স হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ডিজেল আমদানির জন্য রাশিয়া ও ব্রুনেইর সঙ্গেও আলোচনা করছে সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ভারত | পাইপলাইনে | তেল | আমদানি | শুরু | হচ্ছে | আজ