আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই : প্রধানমন্ত্রী

কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই : প্রধানমন্ত্রী
কারও সঙ্গে যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই নীতিতে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। তবে কেউ আক্রমণ করলে সমুচিত জবাব দেয়ার প্রস্তুতি থাকবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২০ মার্চ) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কক্সবাজারে ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ সাবমেরিন ঘাঁটির উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি। ১৪ বছরের নৌবাহিনীতে আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক হলো এ সাবমেরিন ঘাঁটি। জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ এর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমর সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। তবে, আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, তারা সকল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক সেটাই আমরা চাই। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সেখানে কর্তব্য পালনে তারা যেন কোনভাবেই পিছিয়ে না থাকে সেভাবেই এই বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত করছি। মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর বিশাল অবদান রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত করতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এ ছাড়াও আধুনিকভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে সব বাহিনীকে। এরইমধ্যে ৩১টি যুদ্ধ জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সাবমেরিন ঘাঁটিতে নোঙর করতে পারবে ৬টি সাবমেরিন ও ৮টি যুদ্ধজাহাজ। তিনি আরও বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই; তবে কেউ আক্রমণ করলে সমুচিত জবাব দেয়ার প্রস্তুতি আমাদের থাকবে। কক্সবাজারে সাবমেরিন ঘাঁটির কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে সামরিক সক্ষমতায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সাবমেরিন যুগে প্রবেশের পর কর্ণফুলী নদীর ঈশা খাঁ নৌঘাঁটিতে রাখা হতো বানৌজা 'নবযাত্রা' ও 'জয়যাত্রা' নামে সাবমেরিনদুটি। কিন্তু এর নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থেই বিশেষায়িত ঘাঁটির প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে প্রায় ৭০০ একর জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে সাবমেরিন ঘাঁটি।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কারও | সঙ্গে | যুদ্ধ | শান্তি | চাই | | প্রধানমন্ত্রী