আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী

ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তিনি কিয়েভে পৌঁছাবেন বলে জানা যায়। সোমবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মস্কো সফর করার পর অনেকটা আশ্চর্যজনকভাবেই জাপানি প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফরের খবর এলো। মঙ্গলবার (২১মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএন’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানায়, কিশিদা এরই মধ্যে ভারত থেকে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম কোনো যুদ্ধরত দেশে সফর করছেন জাপানের কোনো প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া এটি হবে জি-৭ গ্রুপের কোনো এশীয় সদস্য ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্রের প্রথম ইউক্রেন সফর। সিএনএন বলছে, যুদ্ধরত দুই দেশে চীনা প্রেসিডেন্ট ও জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সফর ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় গভীর বিভাজনের বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে তোলে। জাপান কিয়েভকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্যদিকে, চীন পুতিনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। চীন এখন সামরিক দৃঢ়তা বাড়ানোর ও বিশ্বব্যাপী নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা আরও জোরদার করার কাজ করছে। গেলো বছর কিশিদা বলেছিলেন, আজ রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে। কাল পূর্ব এশিয়াও তাদের হামলার শিকার হতে পারে। গেলো মাসে, যুদ্ধের এক বছরপূর্তিতে ইউক্রেনের জন্য ৫৫০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয় জাপান। সেসময় কিশিদা বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুধু ইউরোপীয়দের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, এটি পুরো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বিশাল একটি চ্যালেঞ্জ। সোমবার নয়াদিল্লি সফরের সময় কিশিদা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে ও চীনের প্রভাব মোকাবিলার জন্যই জাপান এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইউক্রেন | সফরে | যাচ্ছেন | জাপানি | প্রধানমন্ত্রী