বড় বড় সব তারকা আর টাকার ঝনঝনানির ঘরোয়া ক্রিকেটের সব থেকে জনপ্রিয় আসর আইপিএল। টুর্নামেন্টিতে বাংলাদেশের খুব কম ক্রিকেটারি সুযোগ পান অংশগ্রহনের। ২০১১ সাল থেকে সাকিব আল হাসানের পর ২০১৬ সাল থেকে আসরটিতে খেলে আসছেন মুস্তাফিজুর রহমান। আর প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন লিটন কুমার দাশ। কিন্তু প্রতি বছরই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলতে গিয়ে সম্মুখীন হতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নানা বাঁধার।
ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের মতে, দেশের আগে আইপিএল নয়, বিসিবি সভাপতির এমন কথার পর ভারতীয় বোর্ডও চুপ করে বসে থাকতে চায় না। তারাও পাল্টা কড়া অবস্থান নিতে চলেছে। কোন বোর্ড যদি আইপিএল খেলার জন্যে নিজেদের ক্রিকেটারদের না ছাড়ে বা দেরি করে ছাড়ে, তা হলে ভবিষ্যতে সেই দেশের ক্রিকেটারদের হয়তো আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে না। অর্থাৎ, বিসিবি এভাবে অসহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে সাকিবরা আইপিএলে হয়তো কোনও দলই পাবেন না। সেই দেশের ক্রিকেটারদের অগ্রাহ্য করা হবে নিলামের সময়।
আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক বলেছেন, “আমাদের অভিযোগ করার কোনও জায়গা নেই। কারণ ক্রিকেটারদের ব্যাপারে বিসিসিআই বাকি বোর্ডগুলির সঙ্গে সমঝোতা করে। কিন্তু পরের দিকে নির্দিষ্ট কিছু দেশের ক্রিকেটার নেওয়া ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সতর্ক হয়ে যাবে। এর আগে তাসকিন আহমেদও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) পায়নি। এখন শাকিবদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস। যদি ওরা ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলতে দিতেই না চায়, তা হলে নথিভুক্ত করারই দরকার নেই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারণা যে বদলাবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।”
শুধু বাংলাদেশ নয়, একই জিনিস দেখা যেতে পারে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও। এ বারের আইপিএলে শ্রীলঙ্কার চার ক্রিকেটার রয়েছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ় থাকায় প্রথম সপ্তাহে তাঁরা খেলতে পারবেন না। অতীতে ইংল্যান্ড বোর্ডও সে দেশের ক্রিকেটারদের এনওসি দেয়নি।
শুক্রবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল বলেন, ‘‘আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের কবে ছাড়া হবে, এই প্রশ্ন আমাকে বার বার করা হচ্ছে। আমার উত্তর একটাই। আইপিএলের নিলামের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কবে থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে। আমি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সূচি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার ভিত্তিতেই নিলামে আমাদের ক্রিকেটারদের নাম রাখা হয়েছিল। এখন অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।’’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের খেলা চলাকালীন সাকিব, লিটন, মুস্তাফিজুরদের জন্য কিছু করা কঠিন। আমার কাছে কোনও বিকল্প উপায় নেই। অনুমতিপত্র দেওয়া হবে, এমন কিছু কখনও বলা হয়নি। এর পরেও এত সংশয়ের কী রয়েছে? বিষয়টা কি পরিষ্কার হচ্ছে না!’’