শিয়ালের কাজ মুরগি ধরা, খোঁয়াড়ে হানা দেওয়া। কিন্তু শেয়াল যদি মানুষের উপর হামলা করে তাহলে তো বিপদের অন্ত নেই। এমন ঘটনায় ঘটেছে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরে।
শিয়ালের কামড়ে নওগাঁর মহাদেবপুরে শিশুসহ নয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টি রেইবিজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। গত দুইদিনে উপজেলা সদরে বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, রবিবার রাত ৮টার দিকে একটি শিয়াল উপজেলা সদরের বক চত্বর এলাকার বাজারে ঢোকে। এরপর যাকেই সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়িয়েছে। এভাবে কামড়ে ছয়জন আহত হয়েছে। পরদিন সোমবার আবারও তিনজনকে কামড় দেয়। এতে দুই নারী ও শিশুসহ নয়জন আহত হয়েছেন।
শিয়ালের কামড়ে আহতরা হলেন- মহাদেবপুর সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী দুলাল (৬৫), লক্ষণপুর গ্রামের গোপাল চন্দ্রের ছেলে নয়ন কুমার (৩৬), বিল মোহাম্মদপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (৩৫), দেওয়ানপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে এনামুল হক (৩২), উত্তরগ্রাম গ্রামের ছফের আলী মোল্লার ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), ডিমজাউন গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে সহিদ রানা (২৫), চকন্দর্পপুর গ্রামের হারাধনের স্ত্রী কাকলী রাণী (২৫) ও বাজিতপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবরিনা আকতার (৭) ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা পত্নীতলার অফেল উদ্দিনের ছেলে মোজাহেদুল ইসলাম (৩০)।
শিয়ালের উৎপাত নিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী দুলাল বলেন, রবিবার রাত ৮টার দিকে হেঁটে উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় হঠাৎ করে একটি শিয়াল পিছন দিক থেকে দৌঁড়ে এসে পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে পায়ের মাংস কিছুটা উঠে যায়। শিয়ালটির কামড়ে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে শুনেছেন তার মতো অনেককেই কামড় দিয়েছে শিয়ালটি।
শিয়ালের কামড়ে আহত আলমগীর হোসেন বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা সদরে বাজার করতে যাচ্ছিলাম। কাঁচাবাজার এলাকায় পৌঁছালে একটি শিয়াল সামনে এসে দাঁড়ায়। পরে আমার দিকে তেড়ে আসে ও বাম পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
মহাদেবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, পাগলা শিয়ালটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে শিয়ালের কামড় থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের সাবধানতা অবলম্বন ও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল হাকিম বলেন, আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসলে শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছে বলে জানতে পারি। পরপর কয়েকজন চিকিৎসা নেন। তাদের অ্যান্টি রেইবিজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে এটি ক্যাপা শিয়াল।
এসএস/৩নভেম্বর
