আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে নিজেদের স্থান মনে করালো অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশকে নিজেদের স্থান মনে করালো অস্ট্রেলিয়া

বিশ্বকাপের আগে দুই সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল বাংলাদেশের। বাছাই পর্বে স্কটিশদের কাছে হারলেও টেনেটুনে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে টাইগাররা। দুই ম্যাচে জয়ের কাছে থেকেও বাজে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে পরাজয়বরণ করে। আশা ছিল শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে দেশে ফিরবে। কিন্তু এ ম্যাচে আরও বাজে অবস্থা। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইনিংসের রেকর্ড গড়ে। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৬ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সে ম্যাচে ৭০ রান করে টাইগাররা। এদিন সব উইকেট হারিয়ে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ করেন ৭৩ রান। আগের ম্যাচেই অবশ্য সবাই মিলে করেছিল ৮৪ রান। 

বাংলাদেশের ছোট্ট সংগ্রহ যে অজিদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল। যেখানে টাইগাররা রান উঠাতে হা হুতাশ করেছে সেখানে দুই অজি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার রান তুললেন অনায়াসে। দেখিয়ে দিলেন যোগ্যতা থাকলে এই উইকেটে রান তোলা কোনও ব্যাপার না। ওয়ার্নার কিছুটা রয়ে সয়ে খেললেও উইকেটের এপাশ ওপাশে টাইগার বোলারদের কচুকাটা করেন অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ। ২০ বলে ৪ ছয় ও ২ চারে করেন ৪০ রান। দলীয় ৫৮ রানে ফিঞ্চকে বোল্ড করেন তাসকিন আহমেদ। ততক্ষণে অজি অধিনায়ক দলকে নিয়ে যান জয়ের খুব কাছে। এরপর ওয়ার্নারকে (১৪ বলে ১৮) বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান পেসার শরিফুল ইসলাম। বাকি কাজটুকু গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (০) নিয়ে করে ফেলেন মিচেল মার্শ (৫ বলে ১৬)। 

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় ম্যাচ শুরু হয়।টস জিতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়। দলীয় এক রানে স্টার্কের বাইরের বল ভেতরে টেনে বোল্ড হন লিটন দাস। পাঁচ রান পর সৌম্য ফেরেন হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হয়ে। দলীয় ১০ রানে পার্টটাইম বোলার ম্যাক্সওয়েলের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন মুশফিক।

এ ঘটনা বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ৩ ওভারের। দলীয় ৩২ রানে ব্যক্তিগত ১৭ রান করা নাইমকে কামিন্সের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান হ্যাজেলউড। এটি ম্যাচে তার দ্বিতীয় উইকেট। পঞ্চম উইকেট হিসেবে এডাম জাম্পার বলে আফিফ স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তখন দলীয় রান ৩৩।

৬ষ্ঠ উইকেটে শামীমকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ কিছু চেষ্টা করেন। ২৯ রানের জুটি গড়ার পর শামীম উইকেটের পেছনে জাম্পার বলে ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তিনি করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান। একই ওভারের শেষ বলে মেহেদিকে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জাম্পা। ম্যাচে এটি ছিল তার তৃতীয় শিকার।

মেহেদীর বিদায়ের ৩ রান পর বিদায় নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মিচেল স্টার্কের বলে তিনি উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দেন। দলীয় ৭৩ রানে মোস্তাফিজকে স্মিথের ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচ চতুর্থ উইকেট তুলে নেন জাম্পা। ১৫তম ওভারের শেষ বলে শরীফুল তার বলে স্লিপে ফিঞ্চের হাতে ক্যাচ দিলে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৩ রান। 

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জাম্পা ১৯ রানে পাঁচটি, মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজেলউড প্রত্যেকে ২টি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একটি উইকেট লাভ করেন।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বাংলাদেশকে | নিজেদের | স্থান | মনে | করালো | অস্ট্রেলিয়া