আর্কাইভ থেকে এশিয়া

শ্রীলঙ্কায় কোভিডে মৃতদের পুড়িয়ে সৎকারের বাধ্যবাধকতা বাতিল

শ্রীলঙ্কায় কোভিডে মৃতদের পুড়িয়ে সৎকারের বাধ্যবাধকতা বাতিল

কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পুড়িয়ে সৎকারে বাধ্যবাধকতা বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কা। এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি জানায়, শ্রীলঙ্কায় করোনায় মৃতদের মরদেহ পোড়ানো নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে স্বজনদের মৃতদেহ শ্রদ্ধার সঙ্গে সৎকার করতে পারেনি দেশটির বেশকিছু মুসলিম, ক্যাথলিক খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ পরিবারের সদস্যরা।

দেশটির সমালোচকেরা বলে যাচ্ছিল, গণহারে কোভিডে মৃতদের পুড়িয়ে সৎকারের বাধ্যবাধকতা জারির মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। ধর্মের প্রতি কোন শ্রদ্ধা করা হয়নি।

বিশ দিন বয়সী একটি মুসলিম শিশুকে পুড়িয়ে সৎকারে বাধ্য করার পর এ বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। ইসলামে মৃতদেহ পোড়ানোতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কায় প্রায় ২২ লাখ মুসলমান রয়েছে।

শ্রীলঙ্কার সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, কোভিড নাইনটিনে মৃতদের দাফন করলে ভূগর্ভের পানি দূষিত হয়ে যেতে পারে।

তবে সমালোচকরা বলছে, পৃথিবীর ১৯০টিরও বেশি দেশে ভূগর্ভে দাফনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে শ্রীলঙ্কায় কোভিডে মৃতদের পুড়িয়ে ফেলতে বারণ করে জাতিসংঘও। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, মৃতদেহ দাফনের ফলে কোভিডের মতো সংক্রামক রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ার বিষয়ে বিশ্বের কোনো দেশেই এমন কোনো চিকিৎসা বা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায় নি। কোভিডে বা কোভিড সন্দেহে মারা যাওয়া যে কোনো ধর্মের মানুষকে বাধ্যতামূলক শ্মশানের আগুনে পোড়ানো মানবাধিকার লঙ্ঘন।

কোভিড শানাক্তের মৃতদেহ দাফন করা হলে জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক হবে এমন কোনো তথ্য পায়নি শ্রীলঙ্কা। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা কমিউনিটি ফিজিশিয়ানস এবং দেশটির মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শ্রীলঙ্কায় | কোভিডে | মৃতদের | পুড়িয়ে | সৎকারের | বাধ্যবাধকতা | বাতিল