গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে দালাল চক্রের রিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ব্যার-১৩ গাইবান্ধা সদস্যরা।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্তে এ অভিযান পরিচালনা করে ৮জন নারী চক্রের সদস্যকে আটক করে। অভিযানে দালাল চক্রের ৮ নারী সদস্যকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজির হোসেন বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেন।
হাসপাতাল চত্বরে র্যাব -১৩ এর অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক খান। শাস্তি প্রাপ্তরা হলেন গাইবান্ধা পৌর শহরের সাথী বেগম (৩৫), অর্চনা রানী (৩৭), ফাহিমা বেগম (৪০), রেনু বেলা (৪৮), ফাতেমা আকতার (৪৫), আরেফা (৩৮), মোমেনা (৪২), সুমি বেগম(২৮)। আটককৃতরা নিজেদের দোষ স্বীকার করায় প্রত্যককে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এছাড়া শহরে তিনটি লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রত্যকটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। এ সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেন। এগুলো হলো আলমদিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজির হোসেন ,গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান, আবাসিক চিকিৎসক হারুন অর রশিদ র্যাব -১৩ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক খান।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজির হোসেন জানান, আটককৃত দালাল চক্রের সদস্যরা সরকারী হাসপাতাল থেকে রোগী বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য নিয়ে যেত। তারা মূলত সরকারী হাসপাতালে রোগী সংগ্রহে জন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়োগকৃত এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। দালাল চক্রের ৮ নারী সদস্যকে হাতে নাতে তথ্য প্রমানসহ আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া তিনটি লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন না থাকায় তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। সেই সাথে প্রত্যক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এরকম অভিযান চলমান থাকবে।
এস