টানা ১১ মাস পরে মার্চ মাসে বিশ্বে খাদ্যের দাম হ্রাস পেয়েছে। গেলো শুক্রবার (৭ এপ্রিল) প্রকাশিত এফএওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ মাসে খাদ্যমূল্য সূচক ২ দশমিক ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এক বছর আগে দাম সর্বকালের শীর্ষে পৌঁছানোর তুলনায় এটি ২০ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বিষয়টি জানায়।
শস্য ও ডালের দাম গেলো ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং গেলো ১২ মাসে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। শস্য ও খাদ্যশস্যের মধ্যে গমের দাম সবচেয়ে বেশি ৭ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। কারণ ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে গম রপ্তানি বেড়েছে।
ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে ফসল কাটার মৌসুম হওয়ায় চালের দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে এবং দক্ষিণ আমেরিকায় বাম্পার উৎপাদনের কারণে ভুট্টার দাম ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। উদ্ভিজ্জ তেলের দাম মার্চ মাসে ৩ শতাংশ কমেছে এবং ২০২২ সালের মার্চের তুলনায় ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
অন্যদিকে, দুগ্ধজাত পণ্যের দাম ০ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে, যা এক বছর আগের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। মাংসের দাম মার্চ মাসে ০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে কিন্তু গত ১২ মাসের তুলনায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে।
এফএও আরও জানায়, চাহিদা কমে যাওয়া এবং বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার অভিযোজনের (সরবরাহকারীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি) কারণে মূলত গেলো বছরের তুলনায় দাম কমেছে। এই প্রবণতার অন্যতম ব্যতিক্রম ছিল চিনির দাম, যা মার্চ মাসে ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ এর দাম ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
দাম কমে যাওয়া সত্ত্বেও এফএও কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বারবার সতর্ক করেছে যে জ্বালানি সরবরাহের সমস্যা এবং অন্যান্য বাজারের অনিশ্চয়তা বিশ্বের অনেক দরিদ্র দেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এফএও খাদ্যমূল্য সূচক তৈরির জন্য একটি বেসলাইন বছরের তুলনায় ২৩টি ক্যাটাগরিতে ৭৩টি বিভিন্ন পণ্যের দামের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করে। পরবর্তী এফএও সূচক আগামী ৫ মে প্রকাশের কথা রয়েছে।