আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া ‘করোনার ক্যাপসুল’ সেবন না করার পরামর্শ

চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া ‘করোনার ক্যাপসুল’ সেবন না করার পরামর্শ

করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য ‘মলনুপিরাভির’ ক্যাপসুল চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার না করার কথা বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধ ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন (ইইউই) দিয়েছে। ওষুধটি ব্যবহারের ব্যাপারে ন্যাশনাল গাইডলাইন কমিটি বৈঠক করে সঠিক নির্দেশনা প্রদান করবে। এর আগে নতুন ওষুধটি (এন্টিভাইরাল) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেউ যেন ব্যবহার না করেন কিংবা কোথাও যেন বিক্রি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

এর আগে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’ উৎপাদনের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস মলনুপিরাভির উৎপাদনে ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন বা ইইউএ পেয়েছে। আরও ৭টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইইউএ প্রদান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই সাত প্রতিষ্ঠান হলো- ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজ, রেডিয়েন্ট ফার্মা এবং হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সোমবার (৮ নভেম্বর) মলনুপিরাভির (আইএনএন২০০ এমজি) এর মার্কেটিং অথরাইজেশন বেক্সিমকোর অনুকূলে ইইউএ প্রদান করা হয়। আর মঙ্গলবার স্কয়ার এবং মেসার্স এসকেএফ’কে ইইউএ প্রদান করা হয়েছে। আরও সাতটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইইউএ’র প্রাথমিক প্রক্রিয়া (রেসিপি) সম্পন্ন হয়েছে।

মলনুপিরাভির অনুমোদনের মাধ্যমে দেশে করোনার চিকিৎসার আরও এক ধাপ অগ্রগতি সাধিত হলো বলে ঔষধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড সোমবার থেকে মলনুপিরাভির বাজারজাত শুরু করেছে। ২০০ মিলিগ্রামের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- মলনুপিরাভির ক্যাপসুলের ফুল কোর্স হবে পাঁচদিনে। প্রতিদিন আটটি ক্যাপসুল খেতে হবে, যার মধ্যে সকালে চারটি ও রাতে চারটি। অর্থাৎ পাঁচদিনে মোট ৪০টি ক্যাপসুল খেতে হবে। সেই হিসাবে একজন রোগীর জন্য ফুল কোর্সের মলনুপিরাভির দাম পড়বে দুই হাজার ৮০০ টাকা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন চিকিৎসকের | অনুমতি | ছাড়া | করোনার | ক্যাপসুল | সেবন | করার | পরামর্শ