আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

পঞ্চগড় নির্বাচনী সহিংসতা মৃত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা

পঞ্চগড় নির্বাচনী সহিংসতা মৃত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের এক নির্বাচনী পথসভায় দলবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে জখম, আগুনে পুড়ে ক্ষতিসাধন, ভয়ভীতি প্রর্দশন ও হুকুম দানের অপরাধে দায়ের করা এক মামলায় ৯ বছর আগে মারা যাওয়া রবিউল আওয়াল ওরফে রুবেল নামে এক যুবককে আসামী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। 

অভিযুক্ত ওই ইউনিয়নের কুড়ানুগছ এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে বেলের বড় ছেলে। রুবেল ৯ বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। তবে তাকে জীবিত দেখিয়ে মামলায় তার বয়স দেখানো হয়েছে ৩৫ বছর। নির্বাচনী সহিংসতার অভিযোগে গত ৪ নভেম্বর ৫১ জনকে আসামী করে মামলা করেন ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী। আসামীর নামের তালিকায় ১৮ নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে ওই মৃত যুবকের নাম। 

গত ৩১ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে ভজনপুর বাজারে পথসভা করছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ লিটন। এ সময় হঠাৎ পেছন থেকে তার পথসভায় হামলা ও তার এক সমর্থকের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন রুবেল নামে ওই যুবকসহ কয়েকজন আসামী পবিত্র রায় ও আবুল হোসেন নামে তার দুই সমর্থককে বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে এলোপাথারী মারপিট করে। এদিকে মৃত ব্যক্তিকে মামলার আসামী করায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরাও। 

রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম ওরফে বেলে জানান, আমার ছেলে রুবেল ৯ বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মৃত্যুর ৯ বছর পর মৃত ছেলের নামে মামলা হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। বিষয়টি অনেক কষ্টদায়ক। 

মামলার বাদী হারুন অর রশিদ লিটন বলেন, আমাদের কম্পোজ মিসটেক হয়েছে। এজাহার টাইপিং করার সময় ভুল হয়েছে। রুবেলের জায়গায় তার ছোট ভাই রাকিবের নাম হবে। পরবর্তীতে তার নাম বাদ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি মো. আবু ছায়েম মিয়া বলেন, এজাহারে মৃত ব্যক্তিকে আসামী করা হলেও এর দায়ভার মামলার বাদীর। তবে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ মৃত্যুর সনদ জমা দেয় নি। সত্যিকারে যদি ওই ব্যক্তি মৃত হয়ে থাকে তবে অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেয়া হবে। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পঞ্চগড় | নির্বাচনী | সহিংসতা | মৃত | ব্যক্তির | নাম | উল্লেখ | করে | মামলা