রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফ্রান্সের নেতাদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে ফ্রান্স আশ্বাস দিয়ে বলেছে, তারা রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১০ নভেম্বর) প্যারিসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁন ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্সসহ উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনা চলাকালে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। ফ্রান্স জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হওয়ায় এই পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ফ্রান্সের প্রতি আহ্বান জানায়।
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের একটি স্থায়ী সমাধানে না পৌঁছা পর্যন্ত আমরা আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকবো। ফ্রান্সের সকল নেতার সাথে বিশেষকরে প্রেসিডেন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক চলাকালে রোহিঙ্গা ইস্যুর ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের নেতাদের অবহিত করা হয় যে, বাংলাদেশ এই সংকটের সমাধানে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দ্বি-পাক্ষিক, ত্রি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিকভাবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমন কি আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিটি) গিয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদেরকে বলেছি যে ১৯৭০ ও ১৯৯০ এর দশকে মিয়ানমারে সামরিক সরকার ছিল। কিন্তু ওই সময় তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ফ্রান্সকে বলেছি যে, গত চার বছর ধরে দেশটির রাখাইন রাজ্যে কোন সংঘাত ঘটেনি। এখানে কোন সহিংসতা হয়নি। কাজেই, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর এখন উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফ্রান্সের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অবহিত করেছে যে, প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সু-সম্পর্ক রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এই ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফ্রান্সের নেতাদের পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে।
এ সময় অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।
