কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলামের ৫৪ শতক জমি রয়েছে চর গোরকমন্ডল গ্রামে। যাহা তিনি পৈত্রিক সুত্রে ভোগদখল করে আসছেন। এ বছর তিনি ওই জমিতে ভুট্টা ও কলার চাষাবাদ করেছেন।
সোমবার সকাল ১০ টার দিকে শফিকুল ইসলাম শ্রমিক দিয়ে ক্ষেতের পাকা ভুট্টা তুলে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। তিনি বাড়ীতে আসার পরপরই দুষ্কৃতিকারীরা তার জমিতে রোপন করা প্রায় সাড়ে ৫শ কলাগাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। কলার গাছ কাঁটতে দেখে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ এ ফোন করলে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ দেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারীরা।
শফিকুল ইসলাম জানান, একই দাগে মোট ১৮৩ শতক জমি রয়েছে। যার মধ্যে ১২৯ শতক রেকর্ড হয়েছে ওই এলাকার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ গংদের নামে। আর ৫৪ শতক রেকর্ড হয়েছে আমার বাবার নামে। দীর্ঘ দিন থেকে আব্দুল হামিদ ও তার ভাইয়েরা জমিটি দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছেন। যার প্রেক্ষিতে আমরা ২০২২ সালে আদালতে ১৪৪ ধারা জারীর মামলা করি। মামলা নং- এম আর ১৫২/২২(ফুলবাড়ী)। শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত ওই জমিতে বিবাদী পক্ষের প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আব্দুল হামিদ ও তার লোকজন জমিতে প্রবেশ করে সাড়ে পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলেছে। আমি এ অন্যায়ের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা কলাগাছ কাটিনি। কে বা কারা কেটেছে আমি জানিনা।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্হলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কলাগাছ কাটার সত্যতা পেয়েছে। তবে দুস্কৃতিকারী কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।