বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমণিকে বছরের সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কৃত করেছে কলকাতার প্রথম শ্রেণির গণমাধ্যম আনন্দবাজার। প্রতি বছরই দুই বাংলার মানুষের মধ্য থেকে 'বছরের বেস্ট' নির্বাচিত করে পুরস্কৃত করে আসছে তারা।
এ পুরস্কার পেয়ে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে অনুভূতি জানিয়েছেন পরী। তা তুলে ধরা হলো-
এটা সত্যিই আমার জন্য একটি সম্মান এবং মর্যাদাপূর্ণ অর্জন।
আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, দর্শক ভক্তকুল এবং অনুসারী যারা রয়েছেন আপনাদের ভালোবাসার জন্যে আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে।
আপনাদের এই ভালোবাসার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
আনন্দবাজার অনলাইনকে ধন্যবাদ। আপনাদের আতিথেয়তা মনে থাকবে আমার। প্রিয় কলকাতা আমি তোমাকে ভালোবাসি।
উল্লেখ্য, দুই বাংলার মানুষের মধ্যে থেকে ‘বছরের বেস্ট’-কে খুঁজে নেয় আনন্দবাজার। এই বছর সেরা অভিনেত্রী হিসাবে পুরস্কৃত হলেন চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম মুখ পরীমণি। পুরস্কার নিতে মঞ্চে এসে বাংলাদেশের এই অভিনেত্রীর মত, চলচ্চিত্র শিল্পে আরও এক হয়ে কাজ করা উচিত দুই বাংলার। তাঁর কথায়, ‘‘দুই বাংলার সিনেমা দু’জায়গাতেই দেখানো উচিত।’
২০১৫ সালে পর্দায় আবির্ভাবের পর থেকে গতি কমতে দেখা যায়নি পরীমণির কর্মজীবনে। ‘ভালবাসা সীমাহীন’ ছবি দিয়ে পথ চলা শুরু। তার পরেই দৌড়। একই বছর পর পর মুক্তি পায় ছ’টি ছবি। অল্প সময়েই সে দেশে মিষ্টি প্রেমের ছবির জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন পরীমণি। ‘আরও ভালবাসব তোমায়’, ‘নগর মস্তান’, ‘রক্ত’, ‘পুড়ে যায় মন’, ‘আপন মানুষ’, ‘সোনা বন্ধু’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘গুণিন’-এর মতো একের পর এক ছবিতে তাঁর মুখ্য ভূমিকায় মুগ্ধ হয়েছেন বহু দর্শক। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পরীমণিকে নিয়ে উৎসাহ গড়িয়েছে এ বঙ্গেও। এখন কাজের সূত্রে প্রায়ই কলকাতায় আসেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, আগে এই শহরকে ‘বিদেশ’ মনে হলেও এখন আর তা হয় না। টান এখন এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, ফ্লাইটও মিস করেছেন! তাঁর কথায়, ‘‘কলকাতাকে আগে বিদেশ মনে হত। এখন হয় না। এ রকমও হয়েছে, আমার ফ্লাইট আজ। কিন্তু আমি দু’পাঁচ দিন পরে গিয়েছি।’’ পরীমণির হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং টলিপাড়ার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।