বাংলাদেশিসহ ৩৭২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে তিউনিসিয়ার কোস্ট গার্ড। সোমবার (২৪ এপ্রিল) তিউনিসিয়ার উপকূলবর্তী শহর স্ফ্যাক্স অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তারা ছোট্ট এবং সমুদ্র চলাচলে অনুপযোগী নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ফ্রান্সের লিঁওভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আফ্রিকা নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ছাড়াও আটক অভিবাসীদের মধ্যে সিরিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। তবে বাংলাদেশিদের সংখ্যা কতজন তা জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে পশ্চিম আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের নাগরিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপে বেড়েছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল। প্রতিদিনই সমুদ্রপথ পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন তারা। এতে কেউ কেউ লক্ষ্যে পৌঁছালেও বেশিরভাগের ঠাঁই হয় সমুদ্রের অতল গহ্বরে। তবে এবার কোস্ট গার্ডের তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গেলেন সাড়ে তিনশ’র বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী। তিউনিসিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী স্ফ্যাক্সের উপকূল থেকে সাড়ে তিনশ’র বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে একটি নৌকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হন দেশটির কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, স্টিলের তৈরি ছোট একটি নৌকায় করে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল আটককৃতরা। এই নৌকাগুলো সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি ব্যবহারের জন্য স্ফ্যাক্সেই তৈরি হয়। তারা আরও জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা এতোই বেশি ছিলো যে তাদের উদ্ধারের কাজে ব্যবহৃত হওয়া স্পিড বোটটিও প্রায় ডুবে যাচ্ছিল।
চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে অবৈধভাবে অন্যদেশের পথে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ ইতালি ও মাল্টাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিউনিসিয়া সরকার।