প্রথমবারের মতো আইপিএলে সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন কুমার দাস। সুযোগও পেয়েছিলেন মাত্র এক ম্যাচের জন্য। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার থেকেও বাজে উইকেট কিপিং এর জন্য পড়েছিলেন তোপের মুখে। এরপর আর একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়নি লিটনকে। অথচ সুনিল নারাইন আন্দ্রে রাসেলরাও একের পর এক ম্যাচ ব্যর্থ হয়েও সুযোগ পেয়ে যাচ্ছিলেন একাদশে। ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের ভাষ্য ছিল নারাইনের জায়গায় লিটনকে আবারও সুযোগ দেওয়া উচিত। এক ম্যাচে তাঁকে বিচার করাটা মূর্খতা হবে। তবে কলকাতা কর্তৃপক্ষ তা করেনি।
শনিবার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনসে গুজরাত টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচ আছে কলকাতার। শুক্রবার দুপুরের দলটির প্রাকটিস জার্সি গায়ে অনুশীলনের ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন লিটন। লিখেছিলেন আমি “কেকে আর” কিন্তুর এর পর পরেই খবর আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। কলকাতা দলের মিডিয়া বিভাগ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জরুরি পারিবারিক কারণে বাংলাদেশে ফিরে যেতে হয়েছে লিটনকে।
এখন অনেকেরই প্রশ্ন, আর না ফিরলে এবং মাঝের এই সময়টায় দলের সঙ্গে থাকার কারণে পুরো টাকা পাবেন কি না, নাকি লিটনের বেতন কাটা হবে!
আইপিএলের মিনি নিলামে ৫০ লাখ রুপিতে টাইগার এই ওপেনারকে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা। লিটনও আইপিএলে খেলতে অনেক আগ্রহী ছিলেন। তাই তো দেশের খেলার ফাঁকে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মাঝের এই সময়ে পাঁচ ম্যাচ খেলেছে কেকেআর। এর মধ্যে কেবল দিল্লির বিপক্ষের ম্যাচে খেলেছেন লিটন।
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার যদি দেশের খেলার কারণে পুরো আইপিএল দলের সঙ্গে না থাকতে পারেন, তাহলে তাকে পুরো বেতন দেওয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধ নয় ফ্র্যাঞ্চাইজি। এক্ষেত্রে যতগুলো ম্যাচে তাকে পাওয়া গিয়েছে অর্থাৎ খেলা এবং না খেলা মিলিয়ে, ততগুলো ম্যাচের জন্য তাকে টাকা দেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে কোয়ালিফায়ার বাদ দিয়ে ১৪টি ম্যাচে খেলার জন্য লিটনকে ৫০ রুপিতে কিনেছিল কেকেআর। সেই অনুযায়ী, প্রতি ম্যাচে লিটনের প্রাপ্য দাঁড়ায় আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ রুপি। আর লিটন যেহেতু পাঁচ ম্যাচে কেকেআর শিবিরে ছিলেন, তাই তিনি সাড়ে ১৭ লাখ রুপির আশেপাশে পেতে পারেন। সেখান থেকে আবার কর বাবদও টাকা কেটে নেওয়া হবে। তাই লিটন আসলে কত টাকা পাচ্ছেন, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং ক্রিকেটারের ওপর।