প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সমতায় এসেছে টাইগাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৫২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে আফগানিস্তান ৪৩.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১৮৪ রানে। ফলে ৬৮ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
১২ নভেম্বর একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচটি এখন অলিখিত ফাইনালই বলা যায়।
শনিবার ঐতিহ্যবাহী শারজায় টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার ভালো শুরুও এনে দেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম। ১৭ বলে ২২ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তিনে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সঙ্গ নিয়ে রান করতে থাকেন শান্ত। দুজনে মিলে ৭১ রানের জুটিতে গড়েন। কিন্তু ৩৫ রান করে ফেরেন সৌম্য।
এক প্রান্ত আগলে রেখে ৭৫ বলে ফিফটি তুলে নেন নাজমুল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ৩৩ বলে ২২ রান করে আউট হন হয়ে যান মিরাজ। ১১৯ বলে ৭৯ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন শান্তও। ৯ বলে ৩ রান করে আউট হন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
এরপর ২৪ বলে ২৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে আউট হন নাসুম। শেষ পর্যন্ত তাসকিনের ২ রান এবং জাকেরের ২৭ বলের অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
এই রান নিয়ে জিততে হলে বোলারদের ভালো করতেই হতো। নাসুম আহমেদ এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরে তা করে দেখিয়েছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদও পেয়েছেন উইকেটের স্বাদ।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান তাসকিন। ১৭ তম ওভারে নাসুম বল হাতে নিয়েই স্কয়ার লেগে ক্যাচ বানান ওপেনার সাদিকুল্লাহকে (৩৯ রান)। ২৯ তম ওভারে মোস্তাফিজের হাতে ফিরে যান হাশমতউল্লাহ (১৭ রান)।
৩০ তম ওভারে সদ্য ক্রিজে আসা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান নাসুম। একই ওভারে গুলবদিন নাইবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন রহমত (৫২ রান)।
আফগানিস্তানের রান তখন ১১৯ রানে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দুই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ও গুলবদিনের আরও একটি জুটি ম্যাচ জমিয়ে তোলে। ৩৭ তম ওভারে শরীফুলের বলে গুলবদিন কাভারে ক্যাচ তুলে আউট হলে আরও একবার পাল্লা বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়ে। পরের ওভারে নবীকে বোল্ড করেন মিরাজ। সেখান থেকে বেশি দূর এগোয়নি আফগান ইনিংস।