মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও বাংলাদেশের মানবাধিকার ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে তাদের অবস্থান হচ্ছে বাংলাদেশি জনগণের আইনী সুরক্ষা ও মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চায় তারা। মার্কিন প্রশাসনের সাফ কথা-মানবাধিকার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগের সরকারের সময় যা ছিল বর্তমান সরকারের সময়ও তাই আছে।
গেলো ৭ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিন রেজার আদালতে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরীকে আদালত প্রাঙ্গনেই মারধর করেন একদল আইনজীবী। এঘটনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইনি সুরক্ষা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গীর।
ওয়াশিংটন স্থানীয় সময় বুধবার(২০ নভেম্বর) ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের প্রেস ব্রিফিংয়ে দস্তগীর জাহাঙ্গীরের প্রশ্নটি ছিল, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীর ওপর আদালত প্রাঙ্গণে হামলাসহ এ ধরণের ঘটনাগুলো বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে? এছাড়া দেশটির মানবাধিকার, আইনি সুরক্ষা এবং আইনের শাসনের বৃহত্তর প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রশ্নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগের সরকারের সময় যা ছিল বর্তমান সরকারের সময়েও একই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান হচ্ছে আমরা বাংলাদেশি জনগণের মানবাধিকার সমুন্নত রাখা দেখতে চাই।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচন করছে- এধরণের একটি রিপোর্ট উল্লেখ করে বাংলাদেশে মানবাধিকার, আইনী সুরক্ষা ও সংবিধান সংস্কার নিয়ে একটি প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্তব্য জানতে চান ওই বাংলাদেশি সাংবাদিক।
তার প্রশ্নটি ছিল, ‘এমন প্রতিবেদন রয়েছে যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা অপসারণের কথা বিবেচনা করছে যা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমার এমুহূর্তে এ বিষয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বিবৃতির জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানতে চান বাংলাদেশি ওই সাংবাদিক। তার প্রশ্নটি ছিলো, ‘ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সম্প্রতি ‘একটি সশস্ত্র অভিজ্ঞতার প্রস্তুতি’ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন সে সম্পর্কে আপনার কাছে কি কোনো তথ্য বা এবিষয়ে মূল্যায়ন করার কোনো কিছু আছে? অধিকন্ত, অস্ত্রের সম্ভাব্য উৎস সম্পর্কে উদ্বেগ বা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য এই ধরনের বিবৃতি কোনো প্রভাব ফেলবে কি?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি এই বিবৃতিটি মোটেও দেখিনি। আমি এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এদিন গাজায় ইসরাইলি অভিযান, লেবাননে হামলা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রসঙ্গও উঠে আসে।
এমআর//