জাদুকরি মসলা হলুদ। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ানোই নয়, হলুদের আছে আরও গুণ। হলুদের অ্যান্টিফাংগাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার ফলে হলুদ প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
বৈজ্ঞানিকভাবেও একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে যে, হলুদের একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। শুধু তাই নয় ক্যান্সার, অ্যালঝাইমার এমনকি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে হলুদ। তবে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে হলুদ অনেক উপকারে আসতে পারে।
শারীরিক অসুস্থতা দূর করে
হলুদ হলো প্রাকৃতিক উপাদান যা শীতের সবচেয়ে সাধারণ কিছু সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। যেমন, সাইনাস, জয়েন্টে ব্যথা, হজমে সমস্যা, কফ। এসব থেকে তৎক্ষণাৎ মুক্তির জন্য আপনি চা বা দুধের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিতে পারেন। প্রতিদিন হলুদ যদি খেতে পারেন তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
টক্সিন দূর করে
শীতের সময়টাকে মূলত ছুটির সময় ধরা হয়। এ সময়ে মানুষ খাওয়া-দাওয়া করতে, ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। এ থেকে শরীরে অজান্তে জমতে থাকে টক্সিন। এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে হলুদ। লিভার ফাংশনকে ভালো রাখে হলুদ। হলুদে যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
শীতের সময় আমরা গরম পানি, চা, কফি বেশি খেয়ে থাকি। এসময় পানীয়র সাথে হলুদ মিশিয়ে নিতে পারেন। হলুদ খাবারে স্বাদ যোগ করে এবং হজম ভালো রাখে। হলুদ খেলে টক্সিন বের হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বক হয়ে ওঠে লাবণ্যময়ী।
ফ্লু দূর করে
শীতের শুরুতেই ফ্লুর কারণে ঠাণ্ডা জ্বর হয়। এজন্য শীতকালে হলুদ দুধের আলাদা একটা কদর আছে। গর্ভাবস্থায় অনেক নারী হলুদ দুধ খেয়ে উপকার পান। এতে করে ব্যথা কমে। হলুদ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
সবশেষে বলা যায়, হলুদ শুধু ভালো মসলা না হলুদ নিরাময়কারী। এজন্য মসলা হিসেবে হলুদের ব্যবহার শুরু করা উচিত।
এস