সিলেটের বড়শলা এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ চার সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৯ এর একটি অভিযানিক দল।
র্যাব জানায়, আটক চার জনের মধ্যে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মুনও রয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার মায়মুনের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। আবু জাফর, আক্তার কাজী ও রাজ্জাক মোল্লার বাড়ি দেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলায়। মায়মুন সংগঠনটির দাওয়াতি শাখার প্রধানসহ সংগঠনটির জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজ করত বলেও জানায় র্যাব।
এ নিয়ে সকালে র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে একটি প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক খন্দকার আব্দুল মইন।
তিনি জানান, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি আনসার আল ইসলাম বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামের পাহাড়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নাশকতার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছিল সংগঠনটি। কিন্তু সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এ সংগঠনে আমিরের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে কয়েকজন মায়মুনের নেতৃত্বে সিলেটে অবস্থান করে।
র্যাবের মিডিয়া শাখার এ পরিচালক আরও জানান, মায়মুনের সঙ্গে মেজর জিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সে বেশ কয়েকবার মায়মুনের বাড়িতেও অবস্থান করে।
খন্দকার আব্দুল মইন বলেন, ‘আব্দুল্লাহ মায়মুন মূলত সিলেট বিভাগের প্রধান ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি সংগঠনটির দাওয়াতি শাখার প্রধান ছিলেন এবং তিনি অর্থ সংগ্রহের কাজ করতেন। যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মসজিদ-মাদ্রাসা কিংবা নানা খাত দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতেন। কেউ কেউ আবার জেনেশুনেও অর্থ দিতেন।’