আর্কাইভ থেকে ছাত্র-শিক্ষক

গ্যাস বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু , বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানববন্ধন

গ্যাস বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু , বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানববন্ধন
রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ ও ওয়াসার কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আরএফএলের অবহেলার কারনে গ্যাস লাইনের বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের  উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওনের মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শাওনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে দুপুরে এ মানবন্ধনের আয়োজন করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে গ্যাস লাইনে দীর্ঘদিন যাবৎ লিকেজ থাকা সত্বেও সেখানে ওয়াসা কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আরএফএল এর গাফেলতির কারনেই শাওনের এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এটাকে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে পারি না এটা একটি হত্যাকান্ড। মানববন্ধনে জান্নাত মেহেবুবা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এ দুর্ঘটনার দায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেনা। তাদের অসাবধানতার জন্য আমাদের ভাইকে হারাতে হল। আমরা এর বিচার ও শাওনের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাই। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। টিউশন করিয়ে সে পড়ালেখার খরচ চালাতো। কিন্তু তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই আজকে আমাদের শাওনকে হারাতে হল। শাওন তার পরিবারের একমাত্র ছেলে। ছেলেকে হারিয়ে তার বাবা-মা এখন পাগল প্রায়। আমরা চাই শাওনের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ধূপখোলার বিষ্ফোরনে  ঘটনায় আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাওন নিহত হয়েছে। সে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চারদিনের আইসিইউতে ভর্তি ছিল। চিকিৎসারত অবস্থায় শাওন মারা যায়।  আসলে এ ধরনের মৃত্যু কাম্য নয়। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আমরাও চাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করতে। মামলার জন্য সকল প্রস্তুতি আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। আমরা শাওনের চাচার সাথে কথা বলেছি। ওর বাবা-মায়ের এনআইডি আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। কুরিয়ারের মাধ্যমে ওকালতনামা ওদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে আজই পাঠানোর কথা রয়েছে। তারপরই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করবো। উল্লেখ্য গত ১ মে সকালে রাজধানী পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তার থাকা গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের সময় তিনি ধূপখোলায় বাজার করতে গিয়েছিলেন। এতে মেহেদী হাসান দগ্ধ হয়ে শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায়।  তাকে সেদিন থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৬ই মার্চ সকালে শাওনের মৃত্যু হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গ্যাস | বিস্ফোরণে | জবি | শিক্ষার্থীর | মৃত্যু | | বিচার | ও | ক্ষতিপূরণ | চেয়ে | মানববন্ধন