আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশ’ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী

‘বাংলাদেশ’ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী

সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এটি অর্জনে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কাম্য।’ ঢাবির সব শিক্ষার্থী, আভিভাবক, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনন্য দক্ষতায় মনন ও মানবিকতায় অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে এ মহীরূহ বিদ্যায়তন সমগ্র দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে। তবে এমন সময়ে ঢাবির শতবর্ষ পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে, যখন সমগ্র বিশ্বে করোনা মহামারিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। এ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করার ক্ষেত্রেও বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণা-প্রচেষ্টা নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে যেকোনও সংকট উত্তোরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সব শাখায় এগিয়ে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘ আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে  তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, ঢাবি শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত  সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে এ অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না।এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তখনকার তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান।যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। কালক্রমে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘বাংলাদেশ’ নামক জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ’৫২ এর ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত-’৬৬ এর ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্বশাসন আন্দোলন, তার আহ্বানে ’৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, পরবর্তীকালে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ এবং দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা যতবারই সরকার গঠন করেছি, জাতির পিতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ততবারই ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়সহ দেশের সব শিক্ষাঙ্গণ সন্ত্রাস-বহিরাগতমুক্ত করে শিক্ষা-গবেষণার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে খুবই গৌরব অনুভব করি। শেখ কামাল, সুলতানা কামালসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনেক সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলামনাই। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার রয়েছে নাড়ির সম্পর্ক।’

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বাংলাদেশ | সৃষ্টিতে | ঢাকা | বিশ্ববিদ্যালয়ের | অবদান | তুলে | ধরলেন | প্রধানমন্ত্রী