আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ট্রায়াল

বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ট্রায়াল

টিকা না নেওয়া ও করোনা আক্রান্ত হননি এমন ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৬০ জনের ওপর বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ট্রায়াল হবে। 
প্রথম ধাপে দেশিয় ভ্যাকসিনটি সফল প্রয়োগ হলে বাকি দুটি ধাপের ট্রায়াল পরে হবে। আর এতে সাফল্য পেলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে আসতে পারে বঙ্গভ্যাক্স।

ট্রায়ালে যে সব শর্ত দেয়া হয়েছে, বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫৫। দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগে ভুগছেন না বা এখনো নেওয়া হয়নি করোনার টিকা। এ ছাড়া মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি এমন বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর শরীরেই প্রয়োগ হচ্ছে দেশের উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স।  

আর উদ্ধভাবক প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের হয়ে ক্ল্যানিক্যাল ট্রায়াল করছে সিআরও বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে বিএমআরসির অনুমোদনও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির দাবী বানরের দেহে ট্রায়েলে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অ্যান্টিবডির প্রমাণ পেয়েছেন।  সেক্ষেত্রে এবারের অপেক্ষা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের রেগুলেটারি অনুমোদনের। সে জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিগগিরই জমা হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।

ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাম স্বপ্নীল জানান, আমরা কাগজপত্র জমা দিলেই তারা আমাদের অনুমতি দিয়ে দেবে। তখনই আমরা ট্রায়ালে চলে যাব।

নিয়ম অনুসারে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের আগে তিন ধাপে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে। আর এর ফলাফলের ভিত্তিতেই অনুমোদন সাপেক্ষে বাকি ধাপ।

তিন ধাপেই ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়েই মিলবে বাংলাদেশে উৎপাদিত করোনা ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স।

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বঙ্গভ্যাক্সের | প্রথম | ট্রায়াল