কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জগন্নাথপুর বেনী বাজারসংলগ্ন পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় কাউন্সিলর হাজী ফজলুর রহমানের নির্দেশে তাকে পিটিয়ে আহত করে বলে জানা গেছে।
আহত এই আওয়ামী লীগ নেতা ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী ফজলুর রহমান এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ তথ্যের ভিত্তিতেই, জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সাখাওয়াত হোসেন সুজন জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধে পৌর কাউন্সিলর ফজলু মিয়া তার লোকজন নিয়ে জায়গা দখল করতে যায়। তা নিয়ে কাউন্সিলের সঙ্গে শুরু হয় বাক বিতণ্ডা।
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ । পুলিশের সামনেই বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে ফজলুরের লোকজন। এতে আহত হন সুজন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তবে পৌর কাউন্সিলর হাজী ফজলুর রহমান মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বরং জানান, মতিউর রহমান মাস্টারের পরিবারের সঙ্গে সুজনদের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের মীমাংসা করতেই তিনি যান। এবং দুপক্ষকে যার যার জমি বুঝিয়ে দিতে গেলে সুজনের লোকজন মুতি মাস্টারের দুই মেয়ে মিতা ও মুক্তির ওপর হামলা চালায়।
আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশকে তিনিই খবর দেন। তাদের দুপক্ষের হাতাহাতিতে সুজন আহত হন বলে জানান তিনি।
এদিকে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং হামলায় আহত অবস্থায় সুজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তবে এ ব্যাপারে জড়িত থাকার অভিযোগে সাজু মিয়া নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মুক্তা মাহমুদ
