গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল বিভিন্ন জায়গায় স্টেজ প্রোগ্রাম করতে গিয়ে মাতাল অবস্তায় স্টেজ ভেঙে ফেলা। তারপর তার স্ত্রীকে প্রচণ্ড পরিমানে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। সে আমাদের কাছে অজস্র অভিযোগ করেছে। বললেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
শনিবার (২০ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবি প্রধান বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত, টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম না করা- এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আমরা নিয়ে এসেছি। যেহেতু মামলা হয়েছে, মামলার প্রেক্ষিতে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলায় এজাহার থেকে জানা যায়, শরীয়তপুরের একটি স্কুলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য টাকা নিয়েও সেখানে যায়নি তিনি।
গেলো ১৬ মে এই অভিযোগে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬–এর মো. সাফায়েত ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী ঢাকার একটি আদালতে নালিশি মামলা করেন।
এরপর গেলো ১৭ মে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে মতিঝিল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে বলেছেন। আগামী ৯ জুলাই আদালত এ বিষয়ে থানাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গেলো ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। নোবেল চুক্তি অনুযায়ী অগ্রিম বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ও নগদ সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা নিয়েছেন। তবে তিনি অনুষ্ঠানে যাননি। ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
এদিকে আজ সকালে আর্থিক প্রতারণা মামলায় গায়ক নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ।
