আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে পাকিস্তানের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর রাওয়ালপিন্ডির অফিসে (এনএবি) যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এর আগে এ মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে সমন জারি করে এনএবি।
মঙ্গলবার (২৩ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
১৯ মে (শুক্রবার) রাতে এনএবির দুই সদস্যের একটি দল পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের জামান পার্ক এলাকায় ইমরানের বাসভবনে যায়।
সেখানে পিটিআই চেয়ারম্যানের আইনি দলের সদস্যদের কাছে সমন হস্তান্তর করা হয়।
সমন জারির পরপরই লিখিত জবাবে পিটিআই চেয়ারম্যান জানান, সংস্থাটির তদন্তে তিনি সহযোগিতা করবে। ২৩ মে আদালত থেকে বেশ কয়েকটি মামলায় আগাম জামিন নিতে সকাল ১১টার মধ্যে এনএবির অফিসে হাজির হতে পারবেন।
এর আগে সোমবার (২২ মে) ইমরান গ্রেপ্তারের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘মঙ্গলবার আমি জামিনের জন্য ইসলামাবাদে যাচ্ছি। সেখানে আমাকে গ্রেপ্তার করার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ’। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ভেঙে ফেলার জন্য সবকিছু করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমার ১০ হাজারের বেশি কর্মী গ্রেপ্তার আছে। আমার পুরো সিনিয়র নেতৃত্ব কারাগারে। আমার জীবনের হুমকি এখনও আছে। ’
গেলো বছর অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যন ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি রুপি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ইমরান খান, তার বর্তমান স্ত্রী বুশরা বিবি ও ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা পাকিস্তানের পাঞ্জাবের সোহাওয়ায় আল কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের নামে একটি ব্রিটিশ রিয়েল এস্টেট সংস্থাকে জাতীয় কোষাগার থেকে ১৯ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছেন। আরও অভিযোগ করা হয়েছে, আল কাদির ট্রাস্টের অধীনে আল কাদির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের ধনকুবেরের কাছে থেকে অবৈধভাবে জমি নিয়েছেন।