আরও এক বছর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) থাকছেন এম খুরশীদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৩ মে) তার চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আগামী ৪ জুন সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল এম খুরশীদ হোসেনের। এর মধ্যেই তার চাকরির মেয়াদ একবছর বাড়ানো হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ধারা ৪৯ অনুযায়ী তার অবসরোত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিতের শর্তে আগামী ৫ জুন অথবা যোগদানের তারিখ পরবর্তী এক বছর মেয়াদে স্ববেতনে র্যাবের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।
বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১২তম (পুলিশ) ব্যাচে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন খুরশীদ হোসেন। র্যাব ডিজি হওয়ার আগে তিনি পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর র্যাবের নবম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান খুরশীদ হোসেন। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পান। চাকরি জীবনে ঢাকা মহানগর পুলিশের বেশ কয়েকটি পদে চাকরি করেছেন এম খুরশীদ হোসেন।
মেধাবী ও চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিতি এম খুরশীদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দুইবার পুলিশের সর্বোচ্চ পদক 'বিপিএম' এবং একবার 'পিপিএম' পেয়েছেন।
খুরশীদ হোসেন নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন। সেসময় খুরশীদ হোসেন আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। র্যাবপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর খুরশীদ হোসেন অনেক কাজে সফল ও প্রশংসিত হয়েছেন।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য—নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়ার’ সন্ধান এবং তাদের মূলোৎপাটন, সিরাজগঞ্জে ৩১৫ জন সর্বহারা দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী ২২৯টি দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছে।