জাপানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ নাগানোতে বন্দুক ও ছুরি হামলায় দুই নারী ও দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় মাসানোরি আওকি (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি নাগানোর প্রাদেশিক সংসদের স্পিকার মাসামিচি আওকির বড় ছেলে। শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। খবর জাপান টাইমসের।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে নাগানোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাসানোরি আওকির হামলায় হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি জানায়, নাগানোর প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে বন্দুক ও ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার জন নিহত হয়েছেন। হামলাকারী যুবক সিটি অ্যাসেম্বলি স্পিকার মাসামিচি আওকির ছেলে। তার প্রথম শিকার ছিল এক নারী। প্রায় এক ফুট লম্বা একটি ছুরি দিয়ে ওই নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেন যুবক।
ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ তাকে খুনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, `তাকে (নারী) খুন করেছি, কারণ আমি তা করতে চেয়েছিলাম।’
তার পরনে ছিল ক্যামোফ্লেজ পোশাক (সশস্ত্র বাহিনীর পোশাক)। সানগ্লাস, হেড ও মাস্ক পরিহিত ওই যুবককে আটক করতে গেলে দুই পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলি চালায় যুবক। তবে নিহত চতুর্থ আরেকজন যিনি একজন বৃদ্ধা তিনি কিভাবে নিহত হয়েছেন তার স্পষ্ট নয়।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন অত্যন্ত কঠিন হওয়ায় জাপানে বন্দুক হামলার মতো ঘটনা একেবারে বিরল। দেশটিতে কেউ অস্ত্র কিনতে চাইলে, তাকে কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লাইসেন্স পেতে হয়।
তবে সম্প্রতি দেশটির সবচেয়ে বেশি মেয়াদি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় দেশটিতে।