১ লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের ১৭০ ফুট উঁচু একটি বিদ্যুতের টাওয়ারে চূড়ায় উঠে বসে জিকির করছিলেন যুবক। স্থানীয়দের হাজারও চিৎকার আর অনুরোধেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। এভাবে কেটে যায় প্রায় চার ঘণ্টা। অবশেষে ফায়ার সার্ভিসের অভিনব কৌশলে আজান দিলে ১৭০ ফুট উঁচু থেকে নেমে এসে সবাইকে স্বস্তি দেন নাসির (৩০) নামের ওই যুবক।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। আলোচিত ওই যুবকের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগের ইয়ারপুর গ্রামে। তার বাবার নাম সিরাজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এর আগেও সে টাওয়ারে উঠে অক্ষত অবস্থায় নিচে নেমে আসে। কীভাবে এসে উপরে উঠে বসে থাকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রুবায়েদ বলেন, আমি সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে এসে দেখি একজন যুবক বিদ্যুতের উঁচু টাওয়ারের উপরে বসে জিকির করছে। সবাই তাকে নেমে আসার অনুরোধ জানালেও সে নামেনি।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মুনিম সারোয়ার বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি এক যুবক বিদ্যুতের টাওয়ারের উপরে উঠে বসে আছে। সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী নাজমুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে টাওয়ার থেকে নেমে আসতে বলে। বেলা ১২টার দিকে মোবাইল থেকে হ্যান্ড মাইকে আজান বাজালে সে টাওয়ার থেকে নেমে আসে।
তিনি আরও বলেন, এর আগের দিন বিকেলেও ওই যুবক টাওয়ারে উঠেছিল। আমরা তাকে নামিয়ে এনেছি। ২০ দিন আগেও জেলার সদর উপজেলার বরিশল এলাকায় বিদ্যুতের টাওয়ারে উঠেছিল সে। তার মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী সাইমুন আলম বলেন, টাওয়ারটির উচ্চতা ১৭০ ফুট। এখানে জাতীয় গ্রিডের ১ লাখ ৩২ হাজার কেবির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন গেছে। বিদ্যুতের তার অনেক দূরে থাকে। কেউ চাইলেও সেখানে যেতে পারবে না। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব কীভাবে টাওয়ারে উঠল সে।