আর্কাইভ থেকে জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি

লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। বললেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

মহান বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি। 

রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের এ দিনে আমরা বহু প্রতীক্ষিত বিজয় অর্জন করি। এ বছর দেশবাসী আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, যা বাঙালির বিজয়োৎসবে যোগ করেছে অনন্য এক মাত্রা। আনন্দঘন এ মুহূর্তে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জন জাতিকে এনে দিয়েছে একটি সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা। তবে এ অর্জনের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস, রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস। 

আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সদ্যস্বাধীন দেশে ফিরে জাতির পিতা সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। ডাক দিয়েছিলেন কৃষি বিপ্লবের। আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতি, কালোবাজারি, মুনাফাখোরী, লুটেরাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ তার পরিবারের আপনজনদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে উন্নয়নের সেই গতি থমকে দাঁড়ায়। রুদ্ধ হয় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের।

তিনি বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে সরকার ‘ভিশন ২০২১’, ‘ভিশন ২০৪১’ এবং শতবর্ষ মেয়াদি ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ গ্রহণ করেছে। এসব পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো জাতিসংঘ ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০’ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। 

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী কর্মসূচির ফলে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মুক্তিযুদ্ধের | চেতনা | বাস্তবায়নে | নিজ | অবস্থান | অবদান | রাখতে | হবে | | রাষ্ট্রপতি