সৌদি আরবে হজ করতে আসা অতিথিদের রোগমুক্ত রাখতে অনেক সচেতনা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দেশটির স্থল, বিমান ও নৌবন্দরে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে ২৪ ঘণ্টা হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে।
টিকা, কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা থাকবে এসব পয়েন্টে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই চালু করা হবে এসব কেন্দ্র।
হজযাত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি মহামারি প্রতিরোধে আন্তর্জাতিকভাবে যেসব ব্যবস্থা এখনও চালু রয়েছে সেগুলো নিশ্চিতে কেন্দ্রগুলোতে থাকবে ব্যবস্থা।
জেদ্দা ইসলামিক পোর্ট, জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইয়ানবুতে প্রিন্স আবদুল মহসিন বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর, তায়েফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আল-বাথা বন্দর, এম্পটি কোয়ার্টার পোর্ট, সালওয়া পোর্ট, কিং ফাহদ কজওয়ে, আল-রাকাই বন্দর, জেদেদেত আরার বন্দর, আল-হাদিতা বন্দর, হালাত আম্মার বন্দর এবং আল-ওয়াদিয়াহ পোর্টে এই ১৪টি সেবাকেন্দ্র থাকবে।
দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই এসব কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার কক্ষ, গুরুত্বর অসুস্থদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়াসহ আরও ব্যবস্থা থাকবে।
হজযাত্রীদের সঙ্গে আনা খাবারও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই দায়িত্বে থাকবে সৌদি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি।
স্বাস্থ্য বিভাগ হজযাত্রীদের সংখ্যার হিসাবও রাখবে। তাদের আগের কোন অসুস্থতা থাকলে তার ব্যবস্থাপত্রও পর্যালোচনা করবে। আফ্রিকার `ম্যানেনজাইটিস বেল্ট` নামক স্থান থেকে আসা অতিথিদের জন্য বিশেষ প্রতিরোধকমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
সেই সঙ্গে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ও তাদের যাতায়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করবে।
সূত্র: আরব নিউজ