২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে তুলব। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সালাম জানান এবং ১৯৭১ সালে যেসব বন্ধুপ্রতীম দেশ, সংস্থা ও ব্যক্তি নিপীড়িত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা এবং তার আদর্শে দেশ পরিচালনা করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরকারে থেকে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়েছি। আজকে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো আমরা পৌঁছে দিয়েছি। বাংলাদেশে গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষকে আমরা বিনা পয়সার ঘর দিয়েছি।’
জাতির পিতা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। কোভিডের প্রভাব অর্থনীতিতে পড়লেও, আমরা অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছি। আমরা গ্রামীণ অর্থনীতিকে উন্নত করবার পদক্ষেপ নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ সমানভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং তারা পালন করছে। সেটা আমরা নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, আজকে আমরা সেটা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলব। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এস